আনন্দ আসলে দুঃখ মুখোশবিহীন।
যেই কুয়ো থেকে উঠে আসে হাসি
সেই একই কুয়ো ভরে যায় অশ্রুতে তোমার।
কী করে তা হয়?
যেই কুয়ো থেকে উঠে আসে হাসি
সেই একই কুয়ো ভরে যায় অশ্রুতে তোমার।
কী করে তা হয়?
দুঃখ যতো গাঢ়ভাবে অন্তর খুঁড়ে দেবে, ততো
সুখ ধরবে তাতে।
সেই কাপে ভরো নাকি দ্রাক্ষাসব তুমি
যেই কাপ পুড়ে পুড়ে উনুনে তৈরি হয়ে এলো?
যে বাঁশিতে মুক্তি পায় তোমার আত্মা সুরে সুরে
সে-বাঁশির ছিদ্র নয় কি ছুরি দিয়ে কাটা?
যখনই আনন্দে ভরে আছো চেয়ে দেখো হৃদয়ে গভীর
যা দিয়েছে দুঃখ একদিন
তাই দিলো আনন্দ এখন।
যখনই দুঃখে ভরা মন চেয়ে দেখো হৃদয় গভীর
যা ছিলো আনন্দ একদিন
তাই আজ দুঃখ হয়ে গেছে।
তোমরা বলবে কেউ, 'দুঃখের চেয়ে আনন্দ মহান'
কেউ কেউ এ-ও বলবে, 'দুঃখ সেরা আনন্দের চেয়ে।'
আমি বলবোঃ সুখ-দুঃখ ওতপ্রোত থাকে!
একই সঙ্গে দুয়েরই দর্শণঃ
যখন বসেছে এক ঘনিষ্ঠ তোমার পাশটিতে
অন্যটি শুয়ে আছে তোমার শয্যায়!
কেউ কেউ এ-ও বলবে, 'দুঃখ সেরা আনন্দের চেয়ে।'
আমি বলবোঃ সুখ-দুঃখ ওতপ্রোত থাকে!
একই সঙ্গে দুয়েরই দর্শণঃ
যখন বসেছে এক ঘনিষ্ঠ তোমার পাশটিতে
অন্যটি শুয়ে আছে তোমার শয্যায়!
দুই-পাশে সুখ-দুঃখ মাঝে লটকে আছো দাঁড়িপাল্লার কাঁটা যেন
যখন পাল্লা খালি তখনই সুস্থির তুমি তখনই সুষম।
যখনই মালিক তাঁর সোনা-রূপো ওজনে চড়ান
তখনই সুখের কিংবা দুঃখের পাল্লারা ওঠে কিংবা নামে।
যখন পাল্লা খালি তখনই সুস্থির তুমি তখনই সুষম।
যখনই মালিক তাঁর সোনা-রূপো ওজনে চড়ান
তখনই সুখের কিংবা দুঃখের পাল্লারা ওঠে কিংবা নামে।
No comments:
Post a Comment