Friday, July 22, 2011

দ্য প্রফেট অনুবাদ-15

১৮.
একজন যুবাকিশোর বলল, সখ্যতা বন্ধুতা প্রসঙ্গে তুমি আমাদের কিছু বল
এবং জবাবে সে বলল :

তোমাদের বন্ধুর বন্ধুতা হ’ল তোমাদের চাহিদার নিবৃত্তিতে
সে হ’ল তোমাদের জঙ্গম জমি যেখানে তোমরা ভালোবাসার বীজ বুনবে আর ফসল আহরণ করবে সকৃতজ্ঞ প্রবৃত্তিতে
সে হ’ল তোমাদের অন্নব্যঞ্জন, তোমাদের পোহানো আগুন


বুভুক্ষা নিয়ে তার কাছে এসো, শান্তির খোঁজে সন্ধান কর (তার অন্তর্গুণ)।

বন্ধু যখন সে প্রাণ খুলে কিছু বলে তখন তোমাদের মনের না-অস্তিকে ভয় পেয়ো না বা অস্তিকে সংবরণ কোরো না
বন্ধু যখন সে নির্ব্বাক নির্ভাষ তখন তোমাদের হৃদয় তার হৃদয় সংবার্তা শুনতে পায় না বলে মনে কোরো না :
কেন না নির্ভাষ ভাবনা কামনা প্রত্যাশা সব পারস্পরিক আনন্দসুখের মূর্ত মূর্চ্ছনা, সে সবকিছুই রয়ে যায় অল্য অন্তরালে কেউ তার সন্ধান করে না।
বন্ধুর কাছ থেকে বিদায় বেলায় যেন কোন অনুশোচনা কোরো না।
বন্ধুর মধ্যে তোমরা সবচেয়ে পছন্দ কর যা তা তার একান্ত অনুপস্থিতিতেই স্পষ্টতর হ’য়ে ওঠে তোমাদের কাছে,
যেমন সমতল থেকেই পর্ব্বতকন্দর আরও বেশী স্পষ্টতর হ’য়ে ওঠে পর্ব্বতারোহীর কাছে।
এবং বন্ধুতায় যেন ভিন্ন আর কোন উদ্দেশ্য না থাকে, বন্ধুতার উদ্দেশ্য শুধু আত্মায় নিবিষ্টতা
কেন না যে ভালোবাসা তার রহস্য খোঁজে সে ভালোবাসা আর ভালোবাসা থাকে না, সে ভালোবাসা নিক্ষিপ্ত নাগপাশ যেন তাতে ধরা পড়ে শুধু অহেতুক অচরিতার্থতা।

তোমাদের সর্ব্বোতকৃষ্ঠ যা তা বন্ধুর জন্য রেখে যাও
সে অবশ্যই জানে তোমাদের জোয়ারের ভাঁটার কথা, তাকে তার মহাপ্লবের কথাও জানাও।
সে তোমাদের কেমনতর বন্ধু যে নিছক আসঙ্গ লিপ্সায় শুধু তোমরা তার কামনা করবে?
তোমাদের জীবনের প্রতি পল-অনুপলে তোমরা তার কামনা করবে।
সে তোমাদের চাহিদাকে পূর্ণতা দেবে, শূন্যতাকে নয়
এবং বন্ধুতার মধুগন্ধে হাসির ফোয়ারা উঠুক, হউক আনন্দসুখের বিনিময়
কেন না অতি ক্ষুদ্র শিশিরবিন্দুতেও হৃদয় খুঁজে পায় তার প্রভাতসূর্য্য এবং পরমানন্দে (হৃদয়হারা) হয়।


সূত্র:দরবেশ,সামহোয়ারইনব্লগ.কম

No comments:

Post a Comment