Friday, July 22, 2011

দ্য প্রফেট অনুবাদ-18

২২.
অতঃপর যাজিকা এক বলল, আমাদের প্রার্থনা সম্পর্কে তুমি কিছু বল
এবং জবাবে সে বলল :

তোমরা প্রার্থনা কর তোমাদের আপত কালে তোমাদের প্রয়োজনেই
তোমরা প্রার্থনা করবে তোমাদের চরম আনন্দসুখ ও সমৃদ্ধির কালেও (তোমাদের অপ্রয়োজনেই)

দ্য প্রফেট অনুবাদ-17

২১.
অতঃপর নগরের অগ্রজ একজন বলল, আমাদের তুমি শুভ ও অশুভ সম্পর্কে কিছু বল
এবং জবাবে সে বলল :

তোমাদের মধ্যে যা কিছু ভালো ও শুভ আমি শুধু তা-ই তোমাদের বলতে পারি, মন্দ ও অশুভ কোন কিছু নয়
নিজের ক্ষুধা-তৃষ্ণায় আর্ত শুভ ভিন্ন অশুভ অন্য কিছু নয়

দ্য প্রফেট অনুবাদ-17

২০.
জ্যোতির্ব্বিদ একজন বলল, প্রভু, সময় কী তুমি আমাদের বল
জবাবে সে বলল :

তোমরা যদি মাপতে চাও অমেয় অপ্রমেয় সময়কে
তবে কালপ্রহর ও ঋতুচক্রের অনুসরণে সংযত কর তোমাদের স্বভাবপ্রকৃতিকে
স্রোতোস্বিনী তটিনীতীরে বসে নিরীক্ষণ কর সময়কালের গতিপ্রবাহকে

দ্য প্রফেট অনুবাদ-16

১৯.
বিদ্বজ্জন একজন বলল, বাককলা বিষয়ে তুমি আমাদের কিছু বল
এবং জবাবে সে বলল :

তোমরা কথা বল যখন তোমাদের ভাবনার সঙ্গে তোমাদের সন্ধিচ্ছেদ ঘটে
এবং তোমরা তোমাদের হৃদয়াবাসের বিজন নির্জ্জনতা থেকে নির্ব্বাসিত হও যখন তোমাদের ওষ্ঠাধর তোমাদের প্রবাস হ’য়ে ওঠে

দ্য প্রফেট অনুবাদ-15

১৮.
একজন যুবাকিশোর বলল, সখ্যতা বন্ধুতা প্রসঙ্গে তুমি আমাদের কিছু বল
এবং জবাবে সে বলল :

তোমাদের বন্ধুর বন্ধুতা হ’ল তোমাদের চাহিদার নিবৃত্তিতে
সে হ’ল তোমাদের জঙ্গম জমি যেখানে তোমরা ভালোবাসার বীজ বুনবে আর ফসল আহরণ করবে সকৃতজ্ঞ প্রবৃত্তিতে
সে হ’ল তোমাদের অন্নব্যঞ্জন, তোমাদের পোহানো আগুন

দ্য প্রফেট অনুবাদ-14

১৭.
অতঃপর একজন শিক্ষাগুরু বলল, শিক্ষা বিষয়ে তুমি কিছু বল
এবং সে বলল:
তোমাদের জ্ঞানালোক উদয়ে তোমাদের মধ্যে আধোঘুমে উপ্ত কিছুরই রহস্য কেউ প্রকাশ করতে পারে না।
যে মন্ত্রগুরু তাঁর অনুগামী শিষ্যদের নিয়ে জ্ঞানমন্দিরের ছায়ায় হেঁটে বেড়ান তিনি তাঁর বিশ্বাস আর সপ্রেম স্নেহ ভিন্ন তাঁর প্রজ্ঞা বিলিয়ে দেন না

দ্য প্রফেট অনুবাদ-13

১৫
একজন রমণী বলল, দুঃখযন্ত্রণা সম্পর্কে আমাদের তুমি কিছু বল
এবং সে বলল :
তোমাদের বোধবুদ্ধি যে কোরকে উপ্ত তাকে নিঙরেই তোমাদের দুঃখযন্ত্রণার প্রকাশ
প্রস্তরকঠিন ফল ভেঙ্গে বীজহৃদয় যেমন সূর্য্যবীর্য্যে নিষিক্ত হয় তেমনই তোমাদের আর্ত যন্ত্রণার আত্মপ্রকাশ।

দ্য প্রফেট অনুবাদ-12

১৪.
পুনশ্চ যাজিকা সেই তার উদ্দেশ্যে বলল, তুমি আমাদের যুক্তি ও আবেগ সম্পর্কে কিছু বল
জবাবে সে বলল :

তোমাদের চিদাত্মা রণক্ষেত্রে এক, সেই রণক্ষেত্রে তোমাদের যুক্তি ও বিচারবোধ সতত যুযুধান তোমাদের আবেগ ও ক্ষুধাবোধের বিরুদ্ধে, (কেউ কাউকে বরদাস্ত করে না কখনও)

দ্য প্রফেট অনুবাদ-11

১৩.
একজন বাগ্মীবক্তা বলল, তুমি আমাদের স্বাধীনতা বিষয়ে বল
এবং জবাবে সে বলল:

নগরের দ্বারে এবং আগুনের পাশে আমি তোমাদের আভূমি প্রণত হ’য়ে স্বাধীনতার আরাধনা করতে দেখেছি
যেমন করে ক্রীতদাসরা তাদের অত্যাচারী প্রভুর সামনে নতজানু হয় আর তার প্রশস্তি করে যে প্রভু তাদের নিত্য নিধন করে, (এমনও তো আমি দেখেছি)।

দ্য প্রফেট অনুবাদ-10

১২.
তৎপরে একজন আইনবিদ বলল, আমাদের আইন কী, প্রভু, তুমি আমাদের বল
এবং জবাবে সে বলল:

তোমরা আইন জারি করে আনন্দ পাও
তোমরা আইন ভেঙ্গে তার চেয়েও বেশী আনন্দ পাও

দ্য প্রফেট অনুবাদ-09

১১
অতঃপর নগরের বিচারপতি উঠে দাঁড়িয়ে বলল, তুমি আমাদের অপরাধ ও শাস্তির বিষয়ে কিছু বল
জবাবে সে বলল :

তোমাদের সদাত্মা যখন চকিত বাতাসে বেপথুমান হ’য়ে পড়ে
একাকী অরক্ষিত তোমরা তখন অন্যের উপর অনাচার করে বস, আদপে সেই অনাচার তোমাদের নিজেদেরই উপর এসে পড়ে

দ্য প্রফেট অনুবাদ-08

১০
এবং একজন বণিক সে বলল, তুমি আমাদরে বেচাকেনার ব্যাপারে বল
এবং জবাবে সে বলল :

তোমাদরে জন্য ধরিত্রীমাতার উজার করে দেওয়া ফল তোমরা কি জানো উজার করে নিতে, না হ’লে তোমাদরে ফল পাওয়ার আকাঙ্খা কেন তবে?
ধরিত্রীমাতার দানসামগ্রী আদানপ্রদানেই তো তোমাদের পরম প্রার্চুয্য ও পরম পরিতৃপ্তির হেতু হবে

দ্য প্রফেট অনুবাদ-07


অতঃপর রমণী এক তাকে বলল, তুমি আমাদের সুখদুঃখের কথা বল।
জবাবে সে বলল:
তোমাদের সুখ হ’ল অনবগুন্ঠিত বেদনা
তোমাদের যে হাসির ফোয়ারা ওঠে সেই কূপেই ঝরতে থাকে তোমাদের অশ্রুজলের ঝর্ণা।
এছাড়া আর কী-ই বা হ’তে পারে তবে?
তোমাদের দুঃখকে যত সত্তার গভীরে খনন করবে ততই গভীরে তার তোমাদের আনন্দসুখ ভরে উঠবে।

দ্য প্রফেট অনুবাদ-06


অতঃপর এল এক সরাইখানার বৃদ্ধ মালিক এবং তাকে বলল, তুমি আমাদের পানভোজনের ব্যাপারে কিছু বল
এবং সে বলল:

তোমরা কি ধরিত্রীর সৌরভে ঘ্রাণ নিয়ে বাঁচতে পারো কিংবা বায়ুবৃক্ষের মত সূর্য্যের আলোকে প্রাণধারণ করতে।
যখন প্রাণ ধারণের জন্য তোমাদের প্রাণ নিধন করতেই হয় কিংবা তৃষ্ণা নিবারণের জন্য তোমাদের নবজাতকের মাতৃদুগ্ধ হরণ করতেই হয়, তবে তা যেন হয় উপাসনা উপচার, তবেই তো পারো তোমরা প্রাণধারণ করতে

দ্য প্রফেট অনুবাদ-05


অতঃপর ধণাঢ্য জন এক বলল, তুমি আমাদের দানের বিষয়ে বল
এবং জবাবে সে বলল:
তোমরা আসলে তোমাদের ধনদৌলতের যৎসামান্যই দান কর
তোমরা যখন নিজেদেরকে অকাতরে বিলিয়ে দাও তখনই তোমরা আসলে দান কর।

দ্য প্রফেট অনুবাদ-04


বক্ষলগ্ন শিশুকে সঙ্গে নিয়ে এক নারী এসে বলল, তুমি আমাদের শিশুদের কথা বল
এবং জবাবে সে বলল:

তোমাদের শিশুসন্তানরা তোমাদের নয়
জীবনের জন্য জীবনের প্রার্থিত পুত্রকন্যা তারা, তারা তোমাদের নয়
তোমাদের মাধ্যমেই তারা আসে, তোমাদের থেকে নয়

দ্য প্রফেট অনুবাদ-03


পুনশ্চ আল্ মিৎরা বলল, প্রভু, বিবাহ সম্পর্কে তুমি আমাদের কিছু বল
জবাবে সে বলল:

একই সঙ্গে তোমাদের জন্ম, একই সঙ্গে তোমাদের সহবাস হবে অনন্তর
মৃত্যুর ধবলশুভ্র ডানায় তোমাদের জীবনদিবস ছিন্নবিচ্ছিন্ন হলেও তোমাদের সহবাস হবে নিরবিচ্ছিন্ন, অনন্ত অনন্তর

দ্য প্রফেট অনুবাদ-02

এইসব বলল সে। না বলা যে রয়ে গেল অনেক কিছুই
হায়! কিছুতেই বলা হ’ল না তার অন্তরাত্মার গভীর গোপন অনেক কিছুই।

যখন প্রবেশ করল সে নগরে
তার দর্শনলাভের ব্যাকুলতায় আবালবৃদ্ধবণিতার আকুল আহ্বান ধ্বনিত হ’ল সমস্বরে।
নগর জনপদবাসী বয়োজ্যেষ্ঠজনরা এগিয়ে এল তার সম্মুখে, তার উদ্দেশ্যে বলল:

দ্য প্রফেট অনুবাদ-01

কাহলাল জিব্রানের দ্য প্রফেট বইটির কথা শুনেছি মো্স্তাফিজুর রহমান (মোস্তাক ভাই)এর কাছে। তাকে আবার বইটি পড়তে দিয়েছে আমার সহপাঠী বন্ধু হাসান। বইটির অনুবাদ করেছে ভারতীয় এক লেখক। যাইহোক তারপর ইন্টারনেটে বইটি খুঁজতে খুঁজতে সামহোয়ারইন ব্লগে ঢুকে পড়ি এবং পেয়ে যাই কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা। সামহোয়ারইন ব্লগ থেকে সম্পূর্ণ
 লেখাটি সংগ্রহ করে দিলাম। এজন্য সামহোয়ারইন ব্লগের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে উক্ত ব্লগে যেভাবে পোস্ট দেওয়া সেইভাবেই দেওয়ার চেষ্টা করলাম। ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন.....

দ্য প্রফেট অনুবাদ-19



কদাচ নগরভ্রমী এক সন্ন্যাসী বলল, আনন্দসুখ বিষয়ে তুমি আমাদের কিছু বল
জবাবে সে বলল ;


আনন্দ হ’ল মুক্তির সঙ্গীত, স্বাধীনতা বা মুক্তি নয়
আনন্দ হ’ল তোমাদের ইচ্ছাফুল, ফলবতী ইচ্ছা নয়
আনন্দ হ’ল গভীরতার সর্ব্বোচ্চতায় আহ্বায়ন, গভীরও নয় বা সু-উচ্চও নয়
আনন্দ হ’ল যেন পিঞ্জরবনদ্ধ আকাশপাখী গগননিস্তারী, মহামণ্ডলে পরিবেষ্টিত হ’য়ে নয়

আনন্দ ও দুঃখের বিষয়ে


আনন্দ আসলে দুঃখ মুখোশবিহীন।
যেই কুয়ো থেকে উঠে আসে হাসি
সেই একই কুয়ো ভরে যায় অশ্রুতে তোমার।
কী করে তা হয়?